প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে জাতির জনকের কন্যা
দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দু’দিন ব্যাপী ‘অপ্রতিরোধ্য
শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর
২০২১, মঙ্গলবার, সকাল ১০টায় ভার্চুয়ালি আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। আলোকচিত্র প্রদর্শনী ২৯ সেপ্টেম্বর রাত
৮টা পর্যন্ত চলবে। মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী আলোকচিত্র প্রদর্শনী ছাড়াও
ভার্চুয়ালি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন। কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন
প্রফেসর ড. মোহীত উল আলমের সভাপতিত্বে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায়
সম্মানিত অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র রেজাউল করিম
চৌধুরী, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য
মিসেস হাসিনা মহিউদ্দিন, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক জনাব এম এ মালেক, বোর্ড অব
ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য মিসেস সাবিহা মুসা, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের
সম্মানিত সদস্য বোরহানুল হাসান চৌধুরী এবং প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির
ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক। এছাড়া আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভার
সঙ্গে অসুস্থতার কারণে দেশের বাইরে থাকায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। ভার্চুয়ালি
আরও সংযুক্ত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত
সদস্য জনাব রেমন্ড আরেং।
প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে শিক্ষা
উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের এই বাংলা হাজার
বছর পরাধীন ছিল। এই সুদীর্ঘ সময় অনেক শাসক বাংলাকে শাসন করেছে। এসব শাসক
শাসক হিসেবে কখনো স্বাধীন, কখনো পরাধীন ছিল বটে; কিন্তু বাংলার মানুষ কখনো
স্বাধীনতা পায়নি, স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার পায়নি। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান
রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পরে বাংলার পরাধীন মানুষের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভুত
হন শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তান শাসনামলের দীর্ঘ তেইশ বছর তিনি বাঙালির
অধিকার আদায়ের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, এমনকি একারণে
প্রায় তেরো বছর কারাবরণও করেছেন। তারপর ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে
তিনি বাঙালিকে উপহার দিয়েছেন স্বাধীনতা, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র। তিনি
স্বপ্ন দেখেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাওয়া বিধ্বস্ত বাংলাদেশ হবে
সোনার বাংলা। আজ আমরা দেখি, তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছেন তাঁরই
সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি অভূতপূর্ব উন্নয়নের মাধ্যমে
বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে চলেছেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ‘শেখ
হাসিনা রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন এনেছেন’ উল্লেখ করে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫
আগস্টের দুঃসংবাদ সহ্য করে প্রায় ছয় বছর প্রবাসজীবন যাপন করে ১৯৮১ সালের ১৭
মে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। তিনি এসেই বাংলাদেশের মানুষের
কল্যাণে নিবেদিত হন। তাঁর উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বমানচিত্রে
গৌরবের আসনে অধিষ্ঠিত।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বাংলাদেশের শিক্ষায় শেখ
হাসিনার অবদান গভীরভাবে স্মরণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, প্রযুক্তিগত উচ্চ
শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য জেলাভিত্তিক একটি করে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে শেখ হাসিনার।
প্রফেসর ড. অনুপম সেন
ভার্চুয়ালি তাঁর বক্তব্যে দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্মদিনে তাঁকে গভীর
ভালোবাসা ব্যক্ত করে বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি এখানেই
যে, এই মহামারির মধ্যেও তিনি অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছেন। বিশেষজ্ঞদের
মতে, প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫ শতাংশের উপরে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই মহামারির
মধ্যেও শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসোপানে তোলার জন্য যে
বিরাট উদ্যোগগুলো গ্রহণ করেছিল, সেগুলোকে কেবলমাত্র চলমানই রাখেনি, যথেষ্ট
এগিয়ে নিয়ে গেছে। বিশাল পদ্মাসেতুর কাজ এগিয়েছে ৯৪.২৫ শতাংশ, পদ্মাসেতুর
রেলসংযোগ ও বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৪৩ শতাংশ,
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৩৭.২৯ শতাংশ,
মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি হয়েছে ৪৮.৫৩ শতাংশ, রামপাল
বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি হয়েছে ৬৮.৮৫ শতাংশ এবং দোহাজারী-ঘুমধুম ডুয়েলগেজ
ট্র্যাক প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৬১ শতাংশ।
চট্টগ্রাম সিটি
কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জনাব রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫
আগস্ট একটি বিশ্বচক্রান্তের ফলস্বরূপ কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্য জাতির জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাঙালির ইতিহাসকে
কলঙ্কিত করেছে, বিশ্ববাসীর কাছে বাঙালিকে করেছে লজ্জিত। সেদিন তাঁর
দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশে না-থাকায় বেঁচে যান। সেদিন তাঁরা
যদি দেশে থাকতেন, বাংলাদেশের মানুুষ আজ তাদের কাণ্ডারি হিসেব শেখ হাসিনাকে
পেত না। বাংলাদেশের আজ যে বিস্ময়কর উন্নয়ন তাও সম্ভব হতো না।
প্রিমিয়ার
ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য মিসেস হাসিনা মহিউদ্দিন
তাঁর বক্তব্যে শেখ হাসিনার দীর্ঘ জীবন কামনা করেন। তিনি দেশরত্ন শেখ
হাসিনার সংগ্রামী জীবনের বর্ণনা দেন এবং তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের
ক্রমাগত উন্নয়নের বিবরণ দেন।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব
ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য রেমন্ড আরেং বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে যে
অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন, তা শতবছর পরেও মানুষ স্মরণ করবে।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির গণিত বিভাগে আন্তর্জাতিক গণিত দিবস ২০২৪ উদযাপন
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ইইই বিভাগের বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন ফেয়ারের সমাপনী
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে শুরু হলো ইইই বিভাগের দুদিনের বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন ফেয়ার
Read MoreThe "Robo Soccer Competition" organized By- Department of EEE, Premier University
Read MoreMarch! Month of glory and joy for Bangladesh.
Read Moreব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হলো প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আইটি ফেস্ট-২০২৪।
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চট্টলবীর আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
Read More